স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি কি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
নিচে আপনাদের জন্য লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, দুধ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বক ফর্সা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে লেবু। এই লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। লেবু দিয়ে ফর্সা হতে আপনি লেবুকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন তাহলে লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নিন। লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই তৈরিকৃত পেস্ট ২০ থেকে ৩০ মিনিট মুখে মাখিয়ে রাখুন এবং পরবর্তীতে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে করতে থাকলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যেয়ে দেখবেন আপনার ত্বকের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে।

আবার এই লেবুর সাথে পুদিনার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখলে তাকে অনেক উপকার হয় এবং ত্বক ফর্সা হতে সাহায্য করে। আবার লেবুর রসের সাথে মধু এবং বাদামের গুড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক ফর্সা হয়। এছাড়াও লেবুর রস এবং শসার রস একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগালেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ ত্বক ফর্সা হয়।

দুধ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

এখন আপনাদের যে বিষয় সম্পর্কে জানানো হবে তা হচ্ছে দুধ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। ফর্সা হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হচ্ছে দুধ। এই দুধের বিভিন্ন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বককে ফর্সা করে তুলতে পারবেন। চলুন তাহলে সেই ব্যবহার গুলো দেখে নিন। আপনার ত্বক যদি ভরসা করতে চান তাহলে আপনি তুই চাচা চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন যেকোনো সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবহারের পরে দেখবেন আপনার ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও প্রতিদিন শুধু কাঁচা দুধ যদি আপনি মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন তাহলেও দেখবেন কয়েক মাস পরে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও আরেকটি উপায় হচ্ছে কাঁচা দুধের সাথে একটি অর্ধেক কলা মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করেন কিন্তু কিছুদিন পর সাদাকানোর পরে আবার ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। কিন্তু আজকে আপনাদের জানানো হবে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। যে উপায় জানলে আপনারা স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারবেন। উপায় গুলোর সবই অবশ্যই প্রাকৃতিক উপায়। তাই এক্ষেত্রে আপনার বেশি আর্থিক স্বাচ্ছন্দের প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।

আপনাকে শুধু একটু সময় দিয়ে আপনার ত্বকের জন্য। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ত্বকের যত্নে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন লেবুর রস এবং মধু। লেবুর রস এবং মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে অনেকক্ষণ ধরে লাগিয়ে রেখে পরবর্তীতে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক কোমল এবং ফর্সা হয়।এছাড়াও স্থায়ী ফর্সা হতে গেলে কাঁচা দুধের বিকল্প নেই। কাঁচা দুধ ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা বৃদ্ধি পায়।

কাঁচা দুধের সাথে যদি মধু মিশিয়ে তোকে ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ত্বক আগের চেয়ে অত্যাধিক কমল এবং উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। আবার লেবুর রস, মধু এবং কাঁচা বাদামের গুড়া মিশেও ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এছাড়াও ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হচ্ছে এলোভেরার রস। এই এলোভেরার রস প্রতিদিন নিয়ম করে মুখে লাগানো গেলে অত্যন্ত কমল এবং অত্যাধিক উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় যেসব ক্রিমগুলো ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা যাবে সেগুলো ব্যবহার করেও আপনি স্থায়ীভাএ ফর্সা হতে পারবেন।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

উপরে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে যে উপায় গুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটা প্রাকৃতিক উপায় বর্ণনা করা। হয় আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে ভরসা হতে চান তাহলে অবশ্যই সেই পদ্ধতি গুলো আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। আপনি যদি উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কেও জানা হয়ে গেছে। আপনি সেই উপায়গুলোই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করবেন।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

বর্তমানে বাজারে বেশ কিছু ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো ব্যবহার করে অনেকে তাদের ত্বক ফর্সা করতে সক্ষম হচ্ছে। এখন আপনাদের সে সকল ক্রিম গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিমগুলো হচ্ছে - ওয়াও ফেয়ারনেস ক্রিম, হিমালয়া হার্বাল ক্লিয়ার কমপ্লেক্সন, গ্রেনিয়ার লাইট কমপ্লিট, ওলেই হোয়াইট রেসিডেন্স ইত্যাদি ক্রিমগুলো ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় ছাড়াও ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্যগুলো বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪