নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পড়ুন
প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানিনা। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। সাধারণত প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্রে নিম পাতাকে বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ ভূমিকা
- নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার অপকারিতা
- নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার পুষ্টিগুণ
- উপসংহার
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ ভূমিকা
নিমপাতা চিনে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে তারা নিম পাতা সম্পর্কে ভালোভাবেই জানে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হিসেবে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নিম গাছের ছাল এবং নিম গাছের শিকড় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বিষয়টি সম্পর্কে জানা উচিত।
আরো পড়ুনঃ কিসমিসের ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়া আজকের এই আর্টিকেলে আরো থাকবে নিম পাতার উপকারিতা, নিম পাতার উপকারিতা, নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতার পুষ্টিগুণ সহ এই বিষয়গুলো। নিমপাতা সম্পর্কে না জানা থাকলে অবশ্যই এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
নিম পাতার উপকারিতা
গ্রাম অঞ্চলে বাসা বাড়ির আশেপাশে নিম গাছ দেখা যায়। নিম গাছ আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতায় এসে থাকে। এছাড়া নিম পাতার রস কীটনাশক ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ নিম পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তো চলুন আমাদের অতি পরিচিত একটি উপাদান নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
নিম পাতার উপকারিতাঃ
- ওজন কমাতে
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
- রক্ত পরিষ্কার করতে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
- দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতে
- খুশকি দূর করতে
- অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করতে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে
- ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে
- ত্বকের যত্নে
- আলসার রোগের চিকিৎসা হিসেবে
- কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি দিতে
১। ওজন কমাতে -- আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে সমস্যার মধ্যে থাকেন এবং আপনার ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য একটি প্রাকৃতিক সমাধান হলো নিম পাতা। দেহের ওজন কমাতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম পাতার মধ্যে থাকা উপাদান গুলো শরীরের চর্বি কমাতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
২। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে -- আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ এ সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম। নিম পাতার উপস্থিতি উপাদান গুলো শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এছাড়া রক্ত বিশুদ্ধ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি।
৩। রক্ত পরিষ্কার করতে -- আমাদের দেহের রক্ত পরিষ্কার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহের রক্ত পরিষ্কার করতে নিম পাতার কার্যকারিতা রয়েছে অপরিসীম। নিম পাতার রস প্রতিনিয়ত সেবন করলে রক্তের শর্করা করার মতো কমে আসে এবং রক্ত পরিষ্কার হয়ে যায়। এছাড়া হৃদপিন্ডের গতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিনিয়তার নিম পাতার রস সেবন করতে পারেন।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে -- বর্তমান সময়ে খুবই কমন একটি সমস্যা হলো ডায়াবেটিস। এটি একটি মরণব্যাধি রোগ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সুগার ও ডায়াবেটিস এর মতো রোগ শরীরে ভাষা ভাবতে পারে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিম পাতার মধ্যে থাকা উপাদানগুলো।
৫। দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতে -- আমরা অনেকেই দাঁত এবং মাড়ির সমস্যায় ভুগে থাকি। দাঁত এবং মাড়ির যে কোন সমস্যা আপনি দূর করতে পারেন নিম পাতা ব্যবহার করে। নিম পাতার মধ্যে থাকা উপাদান গুলো ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মুখের যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পেতে নিমপাতা কার্যকরী একটি উপাদান।
৬। খুশকি দূর করতে -- আপনি যদি খুশকি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ছত্রাক নাশক এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান। এই উপাদান গুলি খুশকি চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই আপনি খুশকি দূর করতে নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করে এটা মাথার তালুতে লাগাতে পারেন।
৭। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করতে -- হাঁপানি এবং এজমার মত কষ্টকর রোগ নিরাময় করতে নিমপাতা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। নিমের বীজ থেকে তেল উৎপন্ন হয় এই তেল হাঁপানি রোগের চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত যদি নিয়ম করে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল সেবন করা হয় তাহলে অ্যাজমা এবং হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৮। ক্যান্সার প্রতিরোধে -- আমরা জানি যে ক্যান্সার হল একটি মরণব্যাধি রোগ। ক্যান্সার হওয়ার পরে চিকিৎসা না করে আগে থেকেই প্রতিরোধ করা উচিত। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নিম খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে যা মানব শরীরের ক্যান্সার উৎপাদনকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করতে পারে।
৯। ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে -- সাধারণত মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া রোগ হয়ে থাকে। ম্যালেরিয়া রোগের একটি অন্যতম ওষুধ হলো নিমপাতা। ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় আপনি নিম পাতার উপাদান গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো এই রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে।
১০। ত্বকের যত্নে -- আমরা সকলেই চাই আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে। প্রাচীন কাল থেকেই ত্বকের যত্নে নিমপাতা ব্যবহারিত হয়ে আসছে। কখনো কখনো শরীরের ভেতরে নানা রকম সমস্যার কারণে অথবা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে এটি ব্যবহার করা হয়। ব্রণের মতো সমস্যা অথবা ব্রণের দাগ দূর করতে নিমপাতা বেশ কার্যকরী এছাড়া মুখে যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
১১। আলসার রোগের চিকিৎসা হিসেবে -- আলসার হলো একটি মরণব্যাধি রোগ। আলসার এর মতো মরণ ব্যাধি রোগ থেকে নিরাময় ধীরে নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন নিমপাতা ব্যবহারের ফলে আলসারের মতো রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতা ছাল গুঁড়ো করে পরিমাণ মতো পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ লেবুর ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
১২। কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি দিতে -- প্রাচীনকালে যদি কোন মানুষের কুষ্ঠ রোগ হতো তাহলে তাকে সমাজের মানুষ ভালোভাবে নিতো না এমনকি সমাজ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হতো। এর কারণ হলো কুষ্ঠ রোগ হল স্পর্শ জনিত রোগ। কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসে তাহলে তার মাঝেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়বে। এই রোগ নিরাময়ের জন্য নিমপাতা বেশ কার্যকরী একটি উপাদান।
নিম পাতার অপকারিতা
যেই জিনিসের ভালো দিক রয়েছে তার খারাপ দিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। নিম পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে অনেকগুলো ঠিক তেমন নিম পাতার উপকারিতা ও রয়েছে। আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা গুলো জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে নিম পাতার উপকারিতা গুলো জানতে হবে। কারণ অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহার করা যাবে না। অনেক সময় এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নিম পাতার অপকারিতাঃ
১। যদি আপনার কোন কোন ধরনের অপারেশন হয় তাহলে অপারেশন করার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই নিম পাতা খাওয়া এবং এর ব্যবহারগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে।
২। অনেক সময় নিমের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবন করা উচিত নয়।
৩। গর্ভবতী নারীদের নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গর্ভবতী অবস্থায় নিম পাতা খেলে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪। অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবন করলে এর উপকারিতার বদলে অপকারিতা গুলো দেখা দেবে। তাই যখন নিম পাতা খাবেন অবশ্যই পরিমাপ মত খেতে হবে।
৫। যে সকল মানুষ নিম্ন রক্তচাপে বুকে থাকে সাধারণত তাদের নিম পাতা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ নিম পাতা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানা হয়েছে। এখন নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ সঠিকভাবে যদি নিমপাতার ব্যবহার করা না হয় তাহলে এর উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে না। তাই আমাদেরকে প্রথমে একটি ব্যবহার করার আগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
১। আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নিমপাতা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। কারণ গ্যাস্টিকের মত সমস্যা থেকে সমাধান দিতে নিম পাতা সিদ্ধ খুবই কার্যকরী।
২। মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এ ছাড়া হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম।
৩। আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে নিমপাতা সেবন করতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য ভালো। আপনি নিম পাতার রস অথবা নিম পাতা বেটে খেতে পারেন।
৪। প্রতিদিন সকালে নিম পাতা খাওয়ার পরে এটি আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৫। নিম পাতার ফল দিয়ে তেল তৈরি করা হয়। নিমফলের এই তেল সেবন করলে হাঁপানি এবং এজমার মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। এছাড়া নিমপাতা বেটে আপনি এটি আপনার মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে মাথায় থাকা খুশকি এবং উকুন দূর হয়ে যাবে।
নিম পাতার পুষ্টিগুণ
নিমপাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমরা ইতিমধ্যেই নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছি। নিম পাতার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ গুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতায় কাজে লেগে থাকে। চলুন নিম পাতার মধ্যে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক।
- ফাইবার -- ৬.৭৭ গ্রাম
- প্রোটিন -- ২.৪৮ গ্রাম
- ক্যালোরি -- ৪৫ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস -- ২৩ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম -- ১৭৫.৫ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম -- ২৫.২৭ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম -- ৪৪.৪৫ মিলিগ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট -- ৮.১ গ্রাম
- আয়রন -- ৫.৯৫ মিলিগ্রাম
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ উপসংহার
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, নিম পাতার উপকারিতা, নিম পাতার অপকারিতা, নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা পাতার ২৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল অবশ্যই সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। আপনার মতামত শেয়ার করুন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url