এন্ড্রয়েড মোবাইলে মিউজিক ভিডিও বানানোর ১০টি অ্যাপ্স

• KineMaster: মোবাইলের মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও বানানোর যতগুলো অ্যাপ রয়েছে তার মধ্যে থেকে খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হল কাইনমাস্টার। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি যেকোনো ধরনের মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করে মিউজিক ভিডিও তৈরি করে থাকে। 
• PowerDirector: যতগুলো ভিডিও এডিটিং এর অ্যাপ রয়েছে তার মধ্য থেকে আরেকটি জনপ্রিয় ও কাষ্টমেবল অ্যাপ হল পাওয়ার ডাইরেক্টর। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি মিউজিক ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। আপনি যদি পাওয়ার ডাইরেক্টর অ্যাপটি ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। 
• InShot: কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং মিউজিক ক্রিয়েটরদের মাঝে এই অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়। এই অ্যাপটি এতটাই জনপ্রিয় যে এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ৫০০ মিলিয়নেরও অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন একটি অ্যাপ কতটা জনপ্রিয় হলে  এতবার ডাউনলোড হতে পারে। তাই মিউজিক ভিডিও তৈরি করার জন্য এই অ্যাপটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ। 
• FilmoraGo: বিশ্ব বিখ্যাত যতগুলো ভিডিও এডিটিং অ্যাপ রয়েছে তার মধ্য থেকে অন্যতম একটি হলো ফিল্মরা। ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয় এই সফটওয়্যারটি মূলত কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ভিডিও এডিটর হিসেবে পরিচিতি পেলেও বর্তমানে FilmoraGo নামের একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। এই অ্যাপটি মাধ্যমেই আপনি ফিল্মরা অরিজিনাল সফটওয়্যার এর মতই ভিডিও কাস্টমাইজ করতে পারবেন। 
• VivaVideo: ভিডিও এডিটিং করার জন্য বা মিউজিক ভিডিও বানানোর জন্য বর্তমানে যতগুলো মোবাইল অ্যাপ রয়েছে, সেই অ্যাপ সমূহের মধ্যে থেকে অন্যতম জনপ্রিয় আরেকটি অ্যাপ হল ভিভা ভিডিও। বর্তমানে অনেকই এই অ্যাপটি ব্যবহার করে মিউজিক ভিডিও তৈরি করে থাকেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে এখন পর্যন্ত এই অ্যাপটি ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি বারো ডাউনলোড করা হয়েছে। তাই চাইলে অনায়াসেই আপনি জনপ্রিয় এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। 
• Quik: প্রফেশনাল মানের মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে চাইলে আপনার জন্য Quik ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিম্পল এই অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি যেকোনো ধরনের মিউজিক ভিডিও অল্প সময়ের মধ্যে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করার পরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। 
• VideoShow: আরেকটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হল VideoShow. এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। যেহেতু অ্যাপটি ব্যবহার করা অনেক সহজ তাই অনেক মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। 
• CapCut: সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ গুলোর মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হলো CapCut. এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে ৫০০ মিলিয়নের ও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। তাই চাইলে আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। খুব সহজেই প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। 
• Magisto: মিউজিক ভিডিও বানানোর যতগুলো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, সেই অ্যাপ্লিকেশন সমূহের মধ্যে থেকে আরেকটি জনপ্রিয় এপ্লিকেশন Magisto. এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো সময় অল্প সময়ের মধ্যেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। 
• Pixlr: অত্যধিক জনপ্রিয় আরেকটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হল Pixlr. এই অ্যাপটির মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিটিং করা যায়। তাই চাইলে আপনি মিউজিক ভিডিও বানানোর জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। 

মিউজিক ভিডিও বানানোর নিয়ম

মিউজিক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার

শেষ কথা